Skip to content
মুজিব হাসান
Menu
  • মুখপাতা
  • চিন্তানুড়ি
  • গদ্যলেখা
  • স্মৃতিকথা
  • জীবনপাঠ
  • গল্পগুচ্ছ
  • ধারাবাহিক
    • উপন্যাস
    • ভ্রমণগদ্য
  • আলাপঘর
    • মুখোমুখি
    • মুখাড্ডা
  • দেরাজ
    • পাণ্ডুলিপি
    • পাঠানুভূতি
    • চিঠিপত্র
  • খোলা বই
  • বিশেষ আয়োজন
Menu

মিছরির ছুরি

পোস্ট করা হয়েছে জুন ২০, ২০২৪জুলাই ১৫, ২০২৫ by মুজিব হাসান

মানুষের জিহ্বা এক মারাত্মক অস্ত্র। এর আঘাত যেকোনো ধাতব অস্ত্রের চেয়ে সাংঘাতিক। এটা শরীরে লাগে না, কিন্তু হৃদয়কে এমনভাবে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়, যা কাউকে দেখানো যায় না। প্রবাদে যেমন বলা হয়—

লাঠির আঘাতে রক্ত ঝরে, কথার আঘাতে প্রাণ নড়ে।

কথাটি ধ্রুব সত্য। লাঠির আঘাত দিনদুয়েক কিংবা সময়ের ব্যবধানে সেরে ওঠে, কিন্তু কথার আঘাত হৃদয়ে এমন রক্তক্ষরণ ঘটায়, যার ক্ষত তাৎক্ষণিক সারানো যায় না।

রাগ-খেদ বা কথা কাটাকাটির ঘটমান মুহূর্তটি খুব ছোট। উত্তেজনার সময় সব দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে, তারপর দপ করে কিংবা ধীরে ধীরে নিভে যায়। কিন্তু এর পরের মুহূর্তটি বিরাট আকার ধারণ করে আসে। তখনই সৃষ্টি হয় দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়া। এর আগুন ছাইচাপা হয়ে ধিকিধিকি করে জ্বলতে থাকে। ফলে অজান্তেই জীবন হয়ে যায় ছারখার।

এর শুরুটা হয় মুখের একটি কথা থেকে। কথাটি হয়তো সামান্য, অসামান্য বা মারাত্মক। যা আঘাতের ঢিল ছুড়তে অথবা হাসির তুবড়ি ছোটাতে বলা। মিষ্টি কথা শুনতে ভালো লাগে আর তিক্ত কথায় মন ভেঙে যায়। দুটোরই প্রতিকিয়া সুস্পষ্ট। কিন্তু আরেকটি কথা আছে, যা শুনতে মজার হলেও মারাত্মক আঘাত করে। একে বলে ‘মিছরির ছুরি।’

মিষ্টি কথায় তিক্ত আঘাত দেয়, সমাজে এমন মানুষের অভাব নেই। কাছেপিঠের লোকজন এটা বেশি করে। যাদের সাথে নিত্য বসবাস, তারাই মিছরির ছুরিকাঘাতটা করে বারবার। এর প্রতিক্রিয়া হৃদয়ে প্রচণ্ড বিষক্রিয়া ঘটায়। চেহারা দেখে তারা সেটা আঁচ করতে পারে, তবুও সহানুভূতি দেখায় না। বেদনায় নীল মুখ দেখলে তাদের মনে আনন্দের সবুজ বাতি জ্বলে ওঠে। এমন মানুষগুলো কখনোই প্রিয়জন হতে পারে না।

মানুষের মন ভাঙা, কথা দিয়ে আঘাত করা খুবই নিন্দনীয় কাজ। এর কারণে বড় রকমের বিপর্যয় হতে পারে। তাই ইসলাম একে কোনোভাবে সমর্থন করে না। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন—

প্রকৃত মুসলিম সে-ই, যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে। (সহিহুল বুখারি : ১০)

মন্তব্য করুন

আরও লেখা :

  • কথার কয়েন

    কথার কয়েন

    ব্যক্তিত্ব মানুষের ...
  • তারুণ্যের বারুদ

    তারুণ্যের বারুদ

    গোটা পৃথিবী এখন বুদ্...
  • তিল যেভাবে তাল হয়

    তিল যেভাবে তাল হয়

    ফজরের পর হাঁটতে বেরো...
শেয়ার করুন
Amar Kotha

আমি মুজিব হাসান। আমার জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলার হাওড় এলাকার এক কৃষক পরিবারে। দিনটি ছিল ১৩ বোশেখ—নতুন ফসল ঘরে তোলার আমেজময় সময়। বাপদাদার পেশা হাওড়ের চাষাবাদ আর গাঙের জলমহাল। আমার ইচ্ছা লেখালেখিকে নিজের পেশা হিসেবে বরণ করে নেব। এ দেশে কলমকারি করে জীবিকা নির্বাহ করা যদিও বেশ কঠিন কাজ, তবুও এ ইচ্ছা জিইয়ে রাখব।

পড়াশোনার পুরোটা কওমি মাদরাসায়। জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ থেকে দাওরায়ে হাদিস, এরপর জামেয়া দারুল মাআরিফ চট্টগ্রামে আরবি সাহিত্য পড়েছি। করোনা মহামারির সময়টায় শুরু করেছি কর্মজীবন। প্রকাশনায় কাজের ইচ্ছা থেকে বর্তমানে সম্পাদনার কাজবাজ করছি। এছাড়া নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো এখনো কোনো পাটাতন তৈরি করতে পারিনি।

হাওড়ের জীবন, প্রকৃতি ও মানুষ দেখে জেগেছে আমার লেখালেখির বোধ। জীবনের প্রথম রচনা একটি খুদেগল্প—লিখেছিলাম মক্তব সুওমে পড়ার সময়। মক্তব পাঞ্জম থেকে শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ডায়েরি আর ছড়া-কবিতা ছিল আমার নিত্য কলমকারি। হেদায়াতুন্নাহু জামাতে পড়ার সময় গল্প-উপন্যাস রচনায় হাত দিই। এক খাতায় এক বসাতে লিখতাম আস্ত উপন্যাস!

স্কুল-মাদরাসার পাঠ্যবইগুলো আমার সাহিত্য পাঠের প্রথম জোগান। শহুরে পরিবেশে এসে বই পড়ার দিগন্ত আরও প্রসারিত হলো। মাদরাসার সাহিত্য পাঠাগার, পাবলিক লাইব্রেরি, বইয়ের দোকানে ছিল নিত্য যাতায়াত। গল্প-উপন্যাস পড়তে বেশি ভালো লাগে। কবিতা আমার অবসরের সঙ্গী। কুরআনের তাফসির ও জীবনী সাহিত্য বেশ টানে। খুব রয়েসয়ে পাঠ করি চিন্তামূলক রচনাগুলো।

পৃথিবীর বুকে আমি একটি নুক্তা কিংবা নুড়ি। বয়স ও সময়ের ঘর্ষণে ক্ষয়ে যাচ্ছি ধীরে ধীরে। চিহ্নপত্রে নিজেকে নিয়ে বলার মতো এটুকুই কথা। বাকি সব বকওয়াজ।

ফেসবুকে আমি

এটা আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
অনুমতি ছাড়া এখান থেকে কোনো লেখা বা ছবি কপি করা অন্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।

<
.

নিয়মিত আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

© ২০২৫ মুজিব হাসান