Skip to content
মুজিব হাসান
Menu
  • মুখপাতা
  • চিন্তানুড়ি
  • গদ্যলেখা
  • স্মৃতিকথা
  • জীবনপাঠ
  • গল্পগুচ্ছ
  • ধারাবাহিক
    • উপন্যাস
    • ভ্রমণগদ্য
  • আলাপঘর
    • মুখোমুখি
    • মুখাড্ডা
  • দেরাজ
    • পাণ্ডুলিপি
    • পাঠানুভূতি
    • চিঠিপত্র
  • খোলা বই
  • বিশেষ আয়োজন
Menu

তারুণ্যের বারুদ

পোস্ট করা হয়েছে জুন ১৫, ২০২৪জুলাই ১৫, ২০২৫ by মুজিব হাসান

গোটা পৃথিবী এখন বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের শিকার। মানুষের মন-মগজ নিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে তুমুল লড়াই। এই লড়াইয়ে তাৎক্ষণিক ফলাফলের দেখা পাওয়া কঠিন। কে হারবে আর কে জিতবে, তা অনুমান করা দুঃসাধ্য। তাই এর ব্যাপ্তি সুদূরপ্রসারী। এখন বুদ্ধিবৃত্তিক কোনো ইস্যু পেলে পরিণত বয়সীরা তো অবশ্যই; এমনকি যাদের সবে আক্কেল দাঁত গজিয়েছে, বুদ্ধিতে এখনো পরিপুষ্ট হয়নি, তারাও মুখ ব্যাদান করে উঠছে বুঝে না বুঝে।

এসব বিবেচনায় মনে হচ্ছে, এখন বুদ্ধিচর্চার বিষয়টায় কেউ আর জ্ঞান ও বয়সের উপযোগিতাকে মানছে না। আমলে নিচ্ছে না বুঝেশুনে কথা বলার ব্যাপারটাকে। একটা বিষয়ে ইচ্ছে হয়েছে বা সুযোগ পেয়েছে কথা বলার, বলে ফেলছে পট করে; কীসের এত চিন্তাভাবনা! সাধারণ কথাটি বলার আগে যে দম নিতে হয়, শ্রোতা বা প্রতিপক্ষের প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হয়, এটাও ভুলে যাচ্ছে কেউ কেউ। এতে করে আমাদের সমাজে আঁতেলদের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে।

একটা ব্যাপার খেয়াল করছি, বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারের আসক্তিতে আমাদের তারুণ্য—বিশেষ করে মাদরাসাপড়ুয়াদের মন-মানসিকতায় একটা রকমফের পরিবর্তন চলে এসেছে। এতে করে তারা একইসঙ্গে হয়ে উঠছে ভাবলেশহীন, বেপরোয়া ও মারদাঙ্গা। আমার বোধ ও পর্যবেক্ষণে এটাকে এক ধরনের ব্যাধি বলে মনে হচ্ছে। এই ব্যাধির নাম ইন্টেলেকচুয়াল ভাইরাস বা বুদ্ধিবৃত্তিক মহামারি। এর প্রভাব পড়েছে তাদের প্রতিদিনকার জীবনে।

মাদরাসাপড়ুয়াদের বিশেষভাবে ট্যাগ করার কারণ, অনলাইনে এসে তাদের একদল এই কাজটি বেশি করে থাকে। আক্কেল দাঁত গজানোর সাথে সাথে বুদ্ধির গন্দমে কামড় বসাতে মুখ হাঁ করে ওঠে। এতে কে কোন বয়সী, কার স্তর কোনটি—এই বিবেচনাবোধ অনেকের থাকে না। এখনো মুতাওয়াসসিতার স্তর পার হয়নি, এমন ছেলেটি বড় ভাই ও উস্তাযতুল্য এবং বয়সে প্রবীণ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের জ্ঞান দিতে আরম্ভ করে। তাদের কোনো ভুল-বিচ্যুতির আলোচনা উঠলে শুরু করে সাইবার বুলিং। এখানে কোনো বিষয় খতিয়ে দেখা তো দূরের কথা, মূল বিষয়েও আধা অক্ষর জ্ঞান রাখে না বহু আবেগী কিশোর-তরুণ।

এরকম বিষয়ে বিজ্ঞজনরা নানারকম সমালোচনা করেন। এই সমালোচনার দাঁড়িপাল্লার মাপটাও জানে না তাদের অনেকে। এখানে কোনো একটি কথা জজবায় আগুন ধরিয়ে দিলে সমবয়সী ও সমচিন্তকরা আসে ঘিয়ের মটকা নিয়ে। তারপর জোটবদ্ধ হয়ে শুরু করে জ্ঞান খয়রাত আর সাইবার বুলিংয়ের তুমুল আগ্রাসন। এটা খুবই নীচু মানসিকতা ও বুদ্ধিহীনতার কাজ; মারাত্মক অপরাধও!

ফেসবুক কেন্দ্রিক ইস্যু যুদ্ধকে আমি সবসময় এড়িয়ে চলি। পুরো ব্যাপারটাকে মনে হয় বেলুনের হাওয়া। যার বুকে যত দম, মুখভরে ফুঁকতে থাকে। এই বেলুন যে ফুটো, এটাও অনেকের মাথায় থাকে না। আমার কাছে ব্যাপারটা যেমন বিরক্তিকর, তেমনই ন্যক্কারজনক লাগে। তাই এসব বিষয়ে চুপচাপ থাকি। কিন্তু নিজের জ্ঞাতি ভাইদের যখন দেখি এগুলোতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে আগুনে পাওয়া পোকার মতো, তখন বেদনায় স্তব্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না!

কিশোর-তরুণ ভাইটি আমার, হৃদয়ে তারুণ্যের বারুদ পোষা মানে যখন-তখন ফুঁসে ওঠা নয়। এই বারুদ জমিয়ে রাখতে হবে উপযুক্ত ক্ষেত্র ও পরিস্থিতির জন্য। গভীর জ্ঞান, প্রখর বুদ্ধি আর সঠিক বয়স তোমাকে পৌঁছে দেবে সেখানে—যেখানে এই বারুদ ফাটালে হওয়া যাবে সেরা যোদ্ধা। তাই আমার পরামর্শ—নিজেকে ধরে রাখতে শেখো, মুখে লাগাম দাও আর মনকে নিয়ন্ত্রণ করো। কেননা তোমার দিকে তাকিয়ে আছে আগামীর পৃথিবী!

মন্তব্য করুন

আরও লেখা :

  • কথার কয়েন

    কথার কয়েন

    ব্যক্তিত্ব মানুষের ...
  • মিছরির ছুরি

    মিছরির ছুরি

    মানুষের জিহ্বা এক মা...
  • তিল যেভাবে তাল হয়

    তিল যেভাবে তাল হয়

    ফজরের পর হাঁটতে বেরো...
শেয়ার করুন
Amar Kotha

আমি মুজিব হাসান। আমার জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলার হাওড় এলাকার এক কৃষক পরিবারে। দিনটি ছিল ১৩ বোশেখ—নতুন ফসল ঘরে তোলার আমেজময় সময়। বাপদাদার পেশা হাওড়ের চাষাবাদ আর গাঙের জলমহাল। আমার ইচ্ছা লেখালেখিকে নিজের পেশা হিসেবে বরণ করে নেব। এ দেশে কলমকারি করে জীবিকা নির্বাহ করা যদিও বেশ কঠিন কাজ, তবুও এ ইচ্ছা জিইয়ে রাখব।

পড়াশোনার পুরোটা কওমি মাদরাসায়। জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ থেকে দাওরায়ে হাদিস, এরপর জামেয়া দারুল মাআরিফ চট্টগ্রামে আরবি সাহিত্য পড়েছি। করোনা মহামারির সময়টায় শুরু করেছি কর্মজীবন। প্রকাশনায় কাজের ইচ্ছা থেকে বর্তমানে সম্পাদনার কাজবাজ করছি। এছাড়া নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো এখনো কোনো পাটাতন তৈরি করতে পারিনি।

হাওড়ের জীবন, প্রকৃতি ও মানুষ দেখে জেগেছে আমার লেখালেখির বোধ। জীবনের প্রথম রচনা একটি খুদেগল্প—লিখেছিলাম মক্তব সুওমে পড়ার সময়। মক্তব পাঞ্জম থেকে শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ডায়েরি আর ছড়া-কবিতা ছিল আমার নিত্য কলমকারি। হেদায়াতুন্নাহু জামাতে পড়ার সময় গল্প-উপন্যাস রচনায় হাত দিই। এক খাতায় এক বসাতে লিখতাম আস্ত উপন্যাস!

স্কুল-মাদরাসার পাঠ্যবইগুলো আমার সাহিত্য পাঠের প্রথম জোগান। শহুরে পরিবেশে এসে বই পড়ার দিগন্ত আরও প্রসারিত হলো। মাদরাসার সাহিত্য পাঠাগার, পাবলিক লাইব্রেরি, বইয়ের দোকানে ছিল নিত্য যাতায়াত। গল্প-উপন্যাস পড়তে বেশি ভালো লাগে। কবিতা আমার অবসরের সঙ্গী। কুরআনের তাফসির ও জীবনী সাহিত্য বেশ টানে। খুব রয়েসয়ে পাঠ করি চিন্তামূলক রচনাগুলো।

পৃথিবীর বুকে আমি একটি নুক্তা কিংবা নুড়ি। বয়স ও সময়ের ঘর্ষণে ক্ষয়ে যাচ্ছি ধীরে ধীরে। চিহ্নপত্রে নিজেকে নিয়ে বলার মতো এটুকুই কথা। বাকি সব বকওয়াজ।

ফেসবুকে আমি

এটা আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
অনুমতি ছাড়া এখান থেকে কোনো লেখা বা ছবি কপি করা অন্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।

<
.

নিয়মিত আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

© ২০২৫ মুজিব হাসান