Skip to content
মুজিব হাসান
Menu
  • মুখপাতা
  • চিন্তানুড়ি
  • গদ্যলেখা
  • স্মৃতিকথা
  • জীবনপাঠ
  • গল্পগুচ্ছ
  • ধারাবাহিক
    • উপন্যাস
    • ভ্রমণগদ্য
  • আলাপঘর
    • মুখোমুখি
    • মুখাড্ডা
  • দেরাজ
    • পাণ্ডুলিপি
    • পাঠানুভূতি
    • চিঠিপত্র
  • খোলা বই
  • বিশেষ আয়োজন
Menu

কথার কয়েন

পোস্ট করা হয়েছে জুলাই ৮, ২০২৪জুলাই ১৫, ২০২৫ by মুজিব হাসান

ব্যক্তিত্ব

মানুষের ওজন কীসে হয়? একটি উত্তর সবারই জানা, শারীরিক ভরে। আরেকটি উত্তর হলো, মানুষ তার ব্যক্তিত্বের ভারে ওজনদার হয়। শারীরিক ভর কমে গেল মানুষ যেমন হ্যাংলা হয়ে যায়, তেমনই ব্যক্তিত্বের ভার হ্রাস পেলে হয়ে যায় হালকা। শরীরের ঘাটতি মানুষকে যতটা না চিন্তিত করে, এর চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন করে ব্যক্তিত্বের হ্রাস পাওয়াটা। স্বাস্থ্যের ক্ষয় হলে এর উদ্ধার মোটামুটি তাড়াতাড়ি করা যায়, কিন্তু ব্যক্তিত্বের বিনাশ ঘটলে এর পুনর্লাভ অনেকটাই দুরুহ।

সম্পর্ক

আপনার যদি কারও প্রতি ভালোবাসা জন্মে—এই ভালোবাসা হতে পারে মানবিক, আন্তরিক বা আবেগিক—তাহলে একে কেন্দ্র করে যে সম্পর্ক তৈরি হবে, কোনোদিন এর গভীরতা মাপতে যাবেন না। সম্পর্কের নদীকে নিজের মতো করে বয়ে যেতে দিন। এই নদী হোক অথই অথবা অগভীর; এর ঋদ্ধজল কিংবা মুগ্ধস্রোত ঠিক কতটুকু, এটা পরিমাপ করলে হয়তো চিরদিনের জন্য হারাবেন মনের সুখদ অনুভূতি।

সম্পর্কের নিক্তিকে সমান-সমান রাখুন। একদিকে জোখ দেবেন না। স্বার্থের সিকি দিয়ে আন্তরিকতার আধুলিকে কোনোদিন পরিমাপ করতে যাবেন না। স্বার্থের সিকি যদি হাজারটি হয় আর আন্তরিকতার আধুলি হয় একটি, তাহলে এই হাজার সিকির আধিক্যও এক আধুলির ওজনকে কমাতে পারবে না। তাই সম্পর্ক হোক অপরিমেয়, আন্তরিকতা হোক দিব্যকান্ত আর স্বার্থ হোক পরিত্যাজ্য।

আন্তরিকতা

আপনার প্রতি কেউ বাড়তি আন্তরিকতা দেখালে একে আদিখ্যেতা হিসেবে নেবেন না। আন্তরিকতা ননীর মতো, একে হৃদয়ের শীতলতা দিয়ে নরম করে রাখতে হয়। উষ্ণতার আঁচ দিলে গলে পড়ে যায়। মনে রাখবেন, মানুষ সহজেই সহানুভূতিশীল হয়, কিন্তু আন্তরিক হয় না।

অভিযোগ

মানুষের সারা জীবনের অভিযোগ : কেউ তাকে বুঝতে চায় না। আচ্ছা, সে কি নিজেকে বুঝতে চেয়েছে কোনোদিন?

পড়া

বই পড়া আর কুরআন পড়ার মধ্যে পার্থক্য হলো, বই পড়লে চারপাশের জগৎ ঘুমিয়ে থাকে; জেগে থাকে মন। আর কুরআন পড়লে সমগ্র জগৎ সজাগ হয়ে ওঠে; এর আলোড়ন লাগে দেহমনে।

মন্তব্য করুন

আরও লেখা :

  • মিছরির ছুরি

    মিছরির ছুরি

    মানুষের জিহ্বা এক মা...
  • তারুণ্যের বারুদ

    তারুণ্যের বারুদ

    গোটা পৃথিবী এখন বুদ্...
  • তিল যেভাবে তাল হয়

    তিল যেভাবে তাল হয়

    ফজরের পর হাঁটতে বেরো...
শেয়ার করুন
Amar Kotha

আমি মুজিব হাসান। আমার জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলার হাওড় এলাকার এক কৃষক পরিবারে। দিনটি ছিল ১৩ বোশেখ—নতুন ফসল ঘরে তোলার আমেজময় সময়। বাপদাদার পেশা হাওড়ের চাষাবাদ আর গাঙের জলমহাল। আমার ইচ্ছা লেখালেখিকে নিজের পেশা হিসেবে বরণ করে নেব। এ দেশে কলমকারি করে জীবিকা নির্বাহ করা যদিও বেশ কঠিন কাজ, তবুও এ ইচ্ছা জিইয়ে রাখব।

পড়াশোনার পুরোটা কওমি মাদরাসায়। জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ থেকে দাওরায়ে হাদিস, এরপর জামেয়া দারুল মাআরিফ চট্টগ্রামে আরবি সাহিত্য পড়েছি। করোনা মহামারির সময়টায় শুরু করেছি কর্মজীবন। প্রকাশনায় কাজের ইচ্ছা থেকে বর্তমানে সম্পাদনার কাজবাজ করছি। এছাড়া নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো এখনো কোনো পাটাতন তৈরি করতে পারিনি।

হাওড়ের জীবন, প্রকৃতি ও মানুষ দেখে জেগেছে আমার লেখালেখির বোধ। জীবনের প্রথম রচনা একটি খুদেগল্প—লিখেছিলাম মক্তব সুওমে পড়ার সময়। মক্তব পাঞ্জম থেকে শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ডায়েরি আর ছড়া-কবিতা ছিল আমার নিত্য কলমকারি। হেদায়াতুন্নাহু জামাতে পড়ার সময় গল্প-উপন্যাস রচনায় হাত দিই। এক খাতায় এক বসাতে লিখতাম আস্ত উপন্যাস!

স্কুল-মাদরাসার পাঠ্যবইগুলো আমার সাহিত্য পাঠের প্রথম জোগান। শহুরে পরিবেশে এসে বই পড়ার দিগন্ত আরও প্রসারিত হলো। মাদরাসার সাহিত্য পাঠাগার, পাবলিক লাইব্রেরি, বইয়ের দোকানে ছিল নিত্য যাতায়াত। গল্প-উপন্যাস পড়তে বেশি ভালো লাগে। কবিতা আমার অবসরের সঙ্গী। কুরআনের তাফসির ও জীবনী সাহিত্য বেশ টানে। খুব রয়েসয়ে পাঠ করি চিন্তামূলক রচনাগুলো।

পৃথিবীর বুকে আমি একটি নুক্তা কিংবা নুড়ি। বয়স ও সময়ের ঘর্ষণে ক্ষয়ে যাচ্ছি ধীরে ধীরে। চিহ্নপত্রে নিজেকে নিয়ে বলার মতো এটুকুই কথা। বাকি সব বকওয়াজ।

ফেসবুকে আমি

এটা আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
অনুমতি ছাড়া এখান থেকে কোনো লেখা বা ছবি কপি করা অন্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।

<
.

নিয়মিত আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

© ২০২৫ মুজিব হাসান