ব্যক্তিত্ব
মানুষের ওজন কীসে হয়? একটি উত্তর সবারই জানা, শারীরিক ভরে। আরেকটি উত্তর হলো, মানুষ তার ব্যক্তিত্বের ভারে ওজনদার হয়। শারীরিক ভর কমে গেল মানুষ যেমন হ্যাংলা হয়ে যায়, তেমনই ব্যক্তিত্বের ভার হ্রাস পেলে হয়ে যায় হালকা। শরীরের ঘাটতি মানুষকে যতটা না চিন্তিত করে, এর চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন করে ব্যক্তিত্বের হ্রাস পাওয়াটা। স্বাস্থ্যের ক্ষয় হলে এর উদ্ধার মোটামুটি তাড়াতাড়ি করা যায়, কিন্তু ব্যক্তিত্বের বিনাশ ঘটলে এর পুনর্লাভ অনেকটাই দুরুহ।
সম্পর্ক
আপনার যদি কারও প্রতি ভালোবাসা জন্মে—এই ভালোবাসা হতে পারে মানবিক, আন্তরিক বা আবেগিক—তাহলে একে কেন্দ্র করে যে সম্পর্ক তৈরি হবে, কোনোদিন এর গভীরতা মাপতে যাবেন না। সম্পর্কের নদীকে নিজের মতো করে বয়ে যেতে দিন। এই নদী হোক অথই অথবা অগভীর; এর ঋদ্ধজল কিংবা মুগ্ধস্রোত ঠিক কতটুকু, এটা পরিমাপ করলে হয়তো চিরদিনের জন্য হারাবেন মনের সুখদ অনুভূতি।
সম্পর্কের নিক্তিকে সমান-সমান রাখুন। একদিকে জোখ দেবেন না। স্বার্থের সিকি দিয়ে আন্তরিকতার আধুলিকে কোনোদিন পরিমাপ করতে যাবেন না। স্বার্থের সিকি যদি হাজারটি হয় আর আন্তরিকতার আধুলি হয় একটি, তাহলে এই হাজার সিকির আধিক্যও এক আধুলির ওজনকে কমাতে পারবে না। তাই সম্পর্ক হোক অপরিমেয়, আন্তরিকতা হোক দিব্যকান্ত আর স্বার্থ হোক পরিত্যাজ্য।
আন্তরিকতা
আপনার প্রতি কেউ বাড়তি আন্তরিকতা দেখালে একে আদিখ্যেতা হিসেবে নেবেন না। আন্তরিকতা ননীর মতো, একে হৃদয়ের শীতলতা দিয়ে নরম করে রাখতে হয়। উষ্ণতার আঁচ দিলে গলে পড়ে যায়। মনে রাখবেন, মানুষ সহজেই সহানুভূতিশীল হয়, কিন্তু আন্তরিক হয় না।
অভিযোগ
মানুষের সারা জীবনের অভিযোগ : কেউ তাকে বুঝতে চায় না। আচ্ছা, সে কি নিজেকে বুঝতে চেয়েছে কোনোদিন?
পড়া
বই পড়া আর কুরআন পড়ার মধ্যে পার্থক্য হলো, বই পড়লে চারপাশের জগৎ ঘুমিয়ে থাকে; জেগে থাকে মন। আর কুরআন পড়লে সমগ্র জগৎ সজাগ হয়ে ওঠে; এর আলোড়ন লাগে দেহমনে।