Skip to content
মুজিব হাসান
Menu
  • মুখপাতা
  • চিন্তানুড়ি
  • গদ্যলেখা
  • স্মৃতিকথা
  • জীবনপাঠ
  • গল্পগুচ্ছ
  • ধারাবাহিক
    • উপন্যাস
    • ভ্রমণগদ্য
  • আলাপঘর
    • মুখোমুখি
    • মুখাড্ডা
  • দেরাজ
    • পাণ্ডুলিপি
    • পাঠানুভূতি
    • চিঠিপত্র
  • খোলা বই
  • বিশেষ আয়োজন
Menu

মোহন সন্ধ্যার সাহিত্য মাহফিল

পোস্ট করা হয়েছে জুন ২০, ২০২৪জুলাই ৮, ২০২৪ by মুজিব হাসান

জলধোয়া আয়নার মতো শরতের মেঘমেদুর আকাশ। দিনঘড়ি হয়ে ঝুলে থাকা সূর্যটা ঢলে পড়েছে পশ্চিম দিগন্তে। সোনাঝরা রোদের ঘূর্ণায়মান কাঁটায় জানান দিচ্ছে বিকেলের বার্তা। দিনের এই ঋদ্ধ প্রহরকে সাক্ষী রেখে আমরা প্রবেশ করলাম টাউন হল প্রাঙ্গণের ইসলামি বইমেলায়। আমি আর খাইরুল ইসলাম, দুজনের প্রধান পরিচয় পড়ুয়া। বইমেলা লেখক-পাঠকের মিলনমেলা, এ ধারার লোকজন এখানে বেশি আসবে। আমাদের…

পুরোটা পড়ুন

ডায়েরির দাগগুলো

পোস্ট করা হয়েছে জুন ২০, ২০২৪জুলাই ৮, ২০২৪ by মুজিব হাসান

আমি তখন পনেরো পেরোনো কিশোর। তাড়াইল সাচাইল মাদরাসায় নাহবেমির জামাতে পড়ি। লজিং থাকি মামার বাড়িতে। সকাল আটটায় খাবারের ছুটি হয়। প্রতিদিন বেরোনোর সময় হাতে করে একটি বই নিয়ে যাই। পড়ি আর হাঁটি; যাওয়া-আসার পুরোটা সময় ডুবে থাকি বইয়ের ভেতর। বিকেলে মামার দোকানে গিয়ে পত্রিকা পড়ি। রাতে ইশার পরে করি টুকটাক লেখালেখি। রোজনামচা লেখা হয় নিয়মিত।…

পুরোটা পড়ুন

আনসারনগরে, পুণ্যস্মৃতির খোঁজে

পোস্ট করা হয়েছে জুন ২০, ২০২৪ by মুজিব হাসান

শীতের সকাল। আকাশের জাফরি গলে চুঁইয়ে পড়ছে দইয়ের ঘোলের মতো কুয়াশা। ঝিরঝিরে বাতাস বয়ে আনছে বরফকুচির আর্দ্রকণা। এক চাকতি কমলালেবুর মতো সূর্য ছড়াচ্ছে কুসুম রোদ। প্রকৃতির এরকম দৃশ্যপট দেখতে দেখতে আমরা রওনা হলাম আনসারনগরের উদ্দেশে। বাংলার সিরাত সাহিত্যের জনক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ.-এর আনসারনগরে, তার পুণ্যস্মৃতির খোঁজে। মাওলানা খানকে আমি চিনেছি তার সাড়াজাগানো আত্মজীবনী ‘জীবনের…

পুরোটা পড়ুন

পাঠ্যবইয়ের আমোদ

পোস্ট করা হয়েছে জুন ২০, ২০২৪ by মুজিব হাসান

বই পড়া নিয়ে যখন স্মৃতি রোমন্থন করি, মনের গহিন থেকে উজ্জ্বল উদ্ধার হয়ে উঠে আসে ‘শিশুছন্দ’ বইটির কথা। আমাদের বাল্যশিক্ষার সময়ে এটি ছিল মাদরাসার শিশু শ্রেণির পাঠ্য। এই বই থেকে নিয়েছি ছন্দোময় নীতিকথায় বাংলা বর্ণপরিচয়ের আমোদিত পাঠ। পড়ার সময় নীতিকথার পঙক্তিগুলো মনে খুব দাগ কাটত, ছন্দের দোলা জাগিয়ে তোলত অপূর্ব মোহন। প্রতিটি বর্ণ ও বাক্যে…

পুরোটা পড়ুন

যে স্মৃতি জল-বাতাসার

পোস্ট করা হয়েছে জুন ২০, ২০২৪জুন ২০, ২০২৪ by মুজিব হাসান

মাদরাসাজীবন। জীবনের খেলাঘরে সুখের বারান্দা। কারও চৌদ্দ বছর, কারও দেড় যুগ, কারও-বা আরও বেশি—আমরা বাস করি এই ঘরে, সংসার পাতি সুখের বারান্দায়। ফালি ফালি রোদ, টুকরো টুকরো ছায়া—মায়াময় এক সোনালি সংসার। মাথার ওপর ঝলমলে চাদোয়া। সেখানে জমা হয় যাপিত জীবনের নানারঙা স্মৃতি। সুখ-দুখের কানাকড়ি, হাসি-কান্নার হিরেপান্না, আনন্দ-বেদনার বর্ণিল গাথা। স্মৃতির ঝালর লাগানো রঙিন মখমলে দিন—যা…

পুরোটা পড়ুন

ঘায়েল বান্ধার দিন

পোস্ট করা হয়েছে জুন ২০, ২০২৪জুন ২০, ২০২৪ by মুজিব হাসান

আমাদের হাওড় এলাকায় বর্ষাকাল শুরু হয় সময়ের একটু আগে; জষ্টি মাসের মাঝামাঝিতে। কোনো বছর বর্ষা আসে ঠিক সময়ে—আষাঢ় মাসে, আবার কোনো বছর এসে যায় অনেকটা আগেভাগে—বোশেখ মাসের মাঝামাঝি কিংবা শেষের দিকে। তা যেভাবেই আসুক, বর্ষার মরসুমটি কিন্তু হাওড় এলাকার জনজীবনে বিরাট প্রভাব ফেলে। শুকনা আর বর্ষা—হাওড়ের ঋতু হিসেবে এ দুটোকে ধরা হয়। শুকনা মরসুমে সমস্ত…

পুরোটা পড়ুন

মায়াময় ভিটেবাড়ি

পোস্ট করা হয়েছে জুন ১৮, ২০২৪জুন ১৮, ২০২৪ by মুজিব হাসান

নদীর ভাঙনে হারালাম চৌদ্দপুরুষের বসতবাড়ি। শিমুলবাঁক গ্রাম ছেড়ে আমরা চলে এলাম এপারে—নতুন জায়গায়, নতুন বাড়িতে। এখানে এসে আমাদের ছোটদের আনন্দ আর ধরে না। চারদিকের পরিবেশটা কী সুন্দর! দুদিকে দুটো গাং। উত্তরে ঘোড়াউত্রা, অনেকটা মরামতো; দক্ষিণে ধনু, স্রোতময় ঢেউখেলানো। মাঝখানে উর্বর ভূমির একখণ্ড চর। ঘাসফড়িংয়ের মাঠ, সোঁদা মাটির পথ, ধান-বাদাম আর মাষকলাইয়ের খেত। রুপোর ফিতের মতো…

পুরোটা পড়ুন

ফেলে আসা জন্মভিটে

পোস্ট করা হয়েছে জুন ১৮, ২০২৪ by মুজিব হাসান

বাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গাং দেখছিলাম। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে স্বচ্ছ পানির ঢেউখেলানো এই নাব্য গাং; নাম তার ধনু—ময়মনসিংহ গীতিকায় যার বর্ণনা আছে। দিনমান তাতে চলাচল করে ডিঙি নাও, ট্রলার, লঞ্চ-কার্গো আর স্টিল বডির নৌকা। বাড়ির পেছনে দাঁড়ালে এ সব দেখা যায়। এমনকি ঘরে বসে শোনা যায় ট্রলারের ভটভট শব্দ আর লঞ্চ-কার্গোর দূরবর্তী সংকেত।…

পুরোটা পড়ুন
Amar Kotha

আমি মুজিব হাসান। আমার জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলার হাওড় এলাকার এক কৃষক পরিবারে। দিনটি ছিল ১৩ বোশেখ—নতুন ফসল ঘরে তোলার আমেজময় সময়। বাপদাদার পেশা হাওড়ের চাষাবাদ আর গাঙের জলমহাল। আমার ইচ্ছা লেখালেখিকে নিজের পেশা হিসেবে বরণ করে নেব। এ দেশে কলমকারি করে জীবিকা নির্বাহ করা যদিও বেশ কঠিন কাজ, তবুও এ ইচ্ছা জিইয়ে রাখব।

পড়াশোনার পুরোটা কওমি মাদরাসায়। জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ থেকে দাওরায়ে হাদিস, এরপর জামেয়া দারুল মাআরিফ চট্টগ্রামে আরবি সাহিত্য পড়েছি। করোনা মহামারির সময়টায় শুরু করেছি কর্মজীবন। প্রকাশনায় কাজের ইচ্ছা থেকে বর্তমানে সম্পাদনার কাজবাজ করছি। এছাড়া নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো এখনো কোনো পাটাতন তৈরি করতে পারিনি।

হাওড়ের জীবন, প্রকৃতি ও মানুষ দেখে জেগেছে আমার লেখালেখির বোধ। জীবনের প্রথম রচনা একটি খুদেগল্প—লিখেছিলাম মক্তব সুওমে পড়ার সময়। মক্তব পাঞ্জম থেকে শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ডায়েরি আর ছড়া-কবিতা ছিল আমার নিত্য কলমকারি। হেদায়াতুন্নাহু জামাতে পড়ার সময় গল্প-উপন্যাস রচনায় হাত দিই। এক খাতায় এক বসাতে লিখতাম আস্ত উপন্যাস!

স্কুল-মাদরাসার পাঠ্যবইগুলো আমার সাহিত্য পাঠের প্রথম জোগান। শহুরে পরিবেশে এসে বই পড়ার দিগন্ত আরও প্রসারিত হলো। মাদরাসার সাহিত্য পাঠাগার, পাবলিক লাইব্রেরি, বইয়ের দোকানে ছিল নিত্য যাতায়াত। গল্প-উপন্যাস পড়তে বেশি ভালো লাগে। কবিতা আমার অবসরের সঙ্গী। কুরআনের তাফসির ও জীবনী সাহিত্য বেশ টানে। খুব রয়েসয়ে পাঠ করি চিন্তামূলক রচনাগুলো।

পৃথিবীর বুকে আমি একটি নুক্তা কিংবা নুড়ি। বয়স ও সময়ের ঘর্ষণে ক্ষয়ে যাচ্ছি ধীরে ধীরে। চিহ্নপত্রে নিজেকে নিয়ে বলার মতো এটুকুই কথা। বাকি সব বকওয়াজ।

ফেসবুকে আমি

এটা আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
অনুমতি ছাড়া এখান থেকে কোনো লেখা বা ছবি কপি করা অন্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।

<
.

নিয়মিত আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

© ২০২৫ মুজিব হাসান